৯ আগস্ট, ২০২৪
স্বদেশ › রাজনীতি
ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার (৫ আগস্ট) অনেকটা হঠাৎ করেই ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হয় তাকে। এর আগে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, তারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আর দমনপীড়ন চালাতে পারবে না। এতেই তার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ছাড়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার জেনারেলদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কারফিউ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর সেনারা আর গুলি ছুড়বে না। সেনাপ্রধান এই বার্তা পৌঁছে দেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার কাছে। তার এই বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন শিক্ষার্থী-জনতার প্রাণহানি কমেছে অন্যদিকে স্বৈরশাসকের পতনও ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়াও সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার পতনের অল্প সময়ের মধ্যে দেয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী সফলভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে সক্ষম হন । সেনাবাহিনীর পুরনো ভাব-মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশংসায় ভাসছেন। শপথ গ্রহণের আগে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া তার একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা দেন ভারতকে। তার এই সাহসী বার্তায় বাংলাদেশীদের হৃদয় ছুঁয়েছে।
মন্তব্য:০