শিরোনাম
১৯৭২ সালের সংবিধানের ত্রুটি ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত *** সিডনিতে রোজল্যান্ডস ওয়ার্ডের জন্য মোহাম্মদ জামানের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু *** অস্ট্রেলিয়া বিএনপির উদ্যোগে বন্যার্তদের সাহায্যে তহবিল গঠন *** বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন *** ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন ***




↠নিজস্ব প্রতিবেদক


১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বদেশ › রাজনীতি

মন্তব্য:০

News Picture

চিত্র:তারেক রহমান| |ক্রেডিট : সিডনি বাংলা নিউজ

নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন তারেক রহমান

কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ নেই, নেই কোনো অযাচিত বাগাড়ম্বর, করেছেন মার্জিত সমালোচনা,দিয়েছেন দিকনির্দেশনা৷ গণতন্ত্র দিবসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা৷ কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধের কারনে তিনি ছিলেন অস্পৃশ্য৷ তার বক্তব্য প্রচার করা যেতোনা দেশে৷ গত ১৭ বছর সম্মিলিত মিডিয়া ট্রায়াল চলেছে তার বিরুদ্ধে৷ জেনজিদের এই প্রজন্ম তারেক রহমানকে জেনে আসছে যেভাবে সরকার দেখাতে চেয়েছে সেভাবেই৷ আজকে যেনো সকল বাঁধা দূর করে দিলেন বিএনপির এই নেতা৷ বিএনপি তো বটেই, সাধারণ নেটিজেনদের মন খোলা প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি৷ দেশের প্রায় সবকটি চ্যানেলে সরাসরি প্রচারিত হয় তারেক রহমানের বক্তব্য৷ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো তাদের ইউটিউবে আলাদা ভিডিও প্রচার করেছে৷ সেসব কমেন্ট ও বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের কমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিএনপির সমালোচকরাও৷ সামাজিক মাধ্যমে লিটন লিখেছেন, কি চমৎকার বক্তব্য, কারো সমালোচনা নাই৷ এটাই তো পার্থক্য৷ মৃনাল কান্তি লিখেছেন, নেতা এমনই হওয়া উচিৎ৷ দয়া করে পরিবর্তন হবেন না৷ সাইফুদ্দিন লিখেছেন, এবারে আমার বিশ্বাস হচ্ছে দেশের জন্য সত্যিই কিছু করবে বিএনপি৷ মনির হোসাইন লিখেছেন, তারেক রহমানের বক্তব্য সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিপক্ক হয়েছে৷ এর আগে পল্টনের বিশাল জনসমুদ্রে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা, নারী-শিশু, কৃষক-শ্রমিক সব শ্রেণি পেশার মানুষ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে জনগণ বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিতে রাজি, তবু স্বৈরশাসন মেনে নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন, অন্যায়-অনিয়ম আর অরাজকতার বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণে মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর পর তাদের শাসন-শোষণের অবসান ঘটেছে। পতিত স্বৈরাচারের পলায়নের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক দেশ গড়ার পথে প্রধান বাধা দূর হয়েছে। তবে বাধা দূর হলেও মাফিয়া চক্রের রেখে যাওয়া ১৫ বছরের জঞ্জাল দূর হয়নি। জনগণের ভোটে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, মাফিয়া চক্রের বেনিফিশিয়ারি অপশক্তি প্রশাসনের অভ্যন্তরে থেকে কিংবা রাজনীতির ছদ্মাবরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারেক রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে হওয়া গণঅভ্যুত্থানের ফসল। এই সরকারের ব্যর্থতা হবে সবার ব্যর্থতা। গণতন্ত্রকামী জনগণের ব্যর্থতা। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। দেশ-বিদেশ থেকে নানা রকমের উস্কানিতেও জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বলে মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তবে, বিএনপি মনে করে সরকার এজেন্ডা সেটিংয়ে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে না পারলে অভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্রকারী চক্র নানা সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এর কিছু আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ভোটার রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভোটার তালিকায় প্রায় আড়াই কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ভোটার হওয়ার পর তরুণ প্রজন্ম একটি জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। ভোট দিয়ে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। দেশের জনশক্তির অর্ধেক নারী এবং তারুণ্যের এই বৃহৎ অংশকে রাজনৈতিক অংশীদারত্বের বাইরে রেখে একটি বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারেক রহমান। রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতি সবক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম একটি ধারাবাহিক এবং চলমান প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির আরও পরিবর্তন-পরিমার্জনকেও বিএনপি স্বাগত জানায়। উন্নত এবং নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আরো নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, এতে দোষের কিছু নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে সমর্থন জানাবে। এ কারণে বিএনপি বারবার জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছে।





মন্তব্য